মঙ্গলবার   ২১ মে ২০২৪ || ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

স্পোটর্স ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩:১৬, ২২ ডিসেম্বর ২০২৩

ভিনদেশিদের দাম নিয়ে সমালোচনা

ভিনদেশিদের দাম নিয়ে সমালোচনা
ছবি : সংগৃহীত

আইপিএলের নিলামে এবার চমক দেখান দুই অসি তারকা মিচেল স্টার্ক ও প্যাট কামিন্স। এই দুজনকে কিনতে রীতিমতো কোষাগার খালি করে ফেলে দুই দল। যার মধ্যে কলকাতা নাইট রাইডার্স স্টার্কের জন্য খরচ করে ২৪ কোটি ৭৫ লাখ রুপি। আর সানরাইজার্স হায়দরাবাদ প্যাট কামিন্সকে কিনতে গুনেছে ২০ কোটি ৫০ লাখ রুপি। 

সব মিলিয়ে এবার ৭২ জন খেলোয়াড় কিনেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। যার মধ্যে ৪২ জন ভারতীয় খেলোয়াড়ের জন্য খরচা হয়েছে ৭৯ কোটি ৭৫ লাখ রুপি। অন্যদিকে ৩০ জন ভিনদেশি খেলোয়াড়কে দলে ভেড়াতে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো ১৫১ কোটি রুপি ব্যয় করে, যা নিয়ে রীতিমতো হইচই।

সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার আকাশ চোপড়া বলছেন, স্টার্ক ও কামিন্সকে এত দামে কেনার কোনো যৌক্তিকতা নেই। তিনি জাসপ্রিত বুমরাহর দাম নিয়েও প্রশ্ন তোলেন, ‘মিচেল স্টার্ক যদি ১৪টি ম্যাচ খেলেন এবং তাঁর চার ওভারের পুরো কোটা বোলিং করেন, প্রতিটি বলের খরচ হবে ৭ লাখ ৬০ হাজার রুপি! আশ্চর্যজনক! কিন্তু এখানে একটি প্রশ্ন– বিশ্বের সেরা বোলার কে? আইপিএলের সেরা বোলার কে? তাঁর নাম জাসপ্রিত বুমরাহ। তিনি পান ১২ কোটি এবং স্টার্ক পান প্রায় ২৫ কোটি। এটা ভুল। আমি কারও টাকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করি না। আমি চাই, সবাই অনেক বেতন পাক, কিন্তু এটা কেমন হয়?’

যদিও ভারতীয় প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসও বলছে, প্রতিটি আসরে ভিনদেশিদের দামটাই বেশি ধরে তারা। সবচেয়ে বেশি দামের দিকটা দেখলে এবারসহ মোট ১২ বারের মধ্যে কেবল চারবার কোনো ভারতীয় সবচেয়ে বেশি দামি নির্বাচিত হয়েছিলেন। যার মধ্যে ২০২২ সালে ঈশান কিষান, ২০১৯ সালে বরুণ চক্রবর্তী আর ২০১৪ ও ২০১৫ আসরে টানা দু’বার যুবরাজ সিং সবচেয়ে দামি আসনটা অলঙ্কৃত করেছিলেন। তবে ভারতীয় তারকাদের দামটা কম হওয়ার পেছনে নিলামকে দায়ী করছেন আকাশ চোপড়া। 


তার মতে, এমনটা হলে বুমরাহ কিংবা কোহলিরা যদি বলেন, তারা নিলামে যেতে চান। তখন তো এত কমে তাদের রাখা যাবে না। পাশাপাশি স্টার্কের এত দাম দেখে কোহলির জন্য আরও চড়া দাম আশা করেছেন চোপড়া, ‘এটা ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ। একজনকে এত কম আর অন্যকে এত বেশি পারিশ্রমিক দেওয়া হচ্ছে কীভাবে? আনুগত্যই রয়্যালিটি। আগামীকাল যদি বুমরাহ মুম্বাইকে বলে ‘দয়া করে আমাকে ছেড়ে দিন এবং আমি নিলামে আমার নাম রাখব।’ 

অথবা যদি কোহলি বেঙ্গালুরুর কাছেও একই দাবি করেন– তাদের দাম বাড়বে, তাই না? এবং এটি কীভাবে হওয়া উচিত? যদি এই নিলাম বাজার সিদ্ধান্ত নেয়, স্টার্কের দাম ২৫ কোটি, তাহলে এটিও সিদ্ধান্ত নেবে যে কোহলির মূল্য ৪২ কোটি বা বুমরাহ ৩৫ কোটি। যদি তা না হয়, তাহলে সমস্যা আছে।’